সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি অফিসে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
লিখিত বার্তায় নাহিদ ইসলাম জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেকেই আহত ও নিহত হয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানান সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তিনি এ ঘটনাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচার দাবি করেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে তাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরির কোটা বাতিলের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়, যার ফলে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
-কালবেলা
